Skip to main content

Featured

A Brighter Tomorrow

Sadness is a complex and often painful emotion that can be triggered by a variety of circumstances or events. It can feel heavy, like a weight on your chest, or empty, like a void in your heart. It can also manifest physically, with symptoms such as fatigue, loss of appetite, and difficulty sleeping. When someone is feeling sad, they may also experience a range of other emotions, such as loneliness, despair, hopelessness, or grief. It can be challenging to cope with sadness, and it's important to seek support from loved ones or a mental health professional if it becomes overwhelming or persistent.   It's hard to put on a brave face when it feels like the world is against you. Lately, I've been feeling like I'm drowning, and every time someone asks if I'm okay, it's like another wave crashing down on me. What's worse is that some of the people who ask are the very same people who are causing me the most trouble. It's like they can't see the damage the

বৃষ্টিতে ভেজা ছেলেটা

: রনি এক কাপ আদা চা দাও তো... (এই কথা বলে বসে পড়লাম দোকানের সামনে রাখা একটা বেঞ্চে উপর। নিয়মিতই রনির দোকানে চা খাওয়া হয়। কেন জানি এখুন ডেইলি চা না খাইলে মাথায় প্রচণ্ড পেইন হয়। প্রতি দিনের মতো আজ তাই রনির দোকানে যাওয়া) 

: ভাইয়া, চা নেন । 
:রনি তাইলে তুমি ভালই আছো? 
:এইতো ভাইয়া মাথা নষ্ট মেমরি হ্যঙ্গ! ভাল আছি ভাইয়া। (রনি প্রতি দিনের মতো আজ একই কথা বলল) 



:হা হা হা তাই নাকি? চা টা কিন্তু ভাল হইছে। তোমার লাইফ এর শ্রেষ্ঠ চা বানাইছো। (আর চা ভাল লাগবে না কেন, এত সুন্দর একটা আবহাওয়া। একপসলা বৃষ্টি এসে সব কিছু ধুয়ে দিয়ে গেছে। সবকিছু যেন সজীব হয়ে উঠছে। গাছের পাতায় জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটা ফোঁটা পানি গায়ে এসে পরছে) 



:হুম ভাইয়া শ্রেষ্ঠ চা, আর এক কাপ দিব কি ? 
: ঠিক আছে দিও, আগে এটা শেষ করি তো । এই কথা বলে সামনে তাকালাম। হটাৎ চোখ গেল রাস্তার ওপাশ থেকে হেটে যাওয়া একটা মেয়ের দিকে। দেখতে ভালই সুন্দরি। বড়লোক ঘরের মেয়ে বলে কারও ভুল হবে না। বয়স হয়ত ১৮-১৯ হবে, মেয়েটিও মাও সাথে ছিল। অবাক করা ব্যাপার হল মেয়েটিও হাতে এক জোড়া স্যান্ডেল। ভাবলাম ছিরে গেছে তাই হইত হাতে নিয়ে হাঁটছে... কিন্তু ভাল মতো যখন স্যান্ডেল এর দিকে তাকালাম, স্যান্ডেল ছেরেনি। তাইলে হয়তো ইছা করে হাতে নিয়ে হাঁটছে। হয়তো শখ করেই হাঁটছে। মানুষের কত রকম শখ থাকে না । বৃষ্টিতে ভিজা রাস্তায় খালি পায়ে কখন হয়তো হাটা হয়নি, তায় শখ পুরন করতেছে। বড়লোকদের বড় বড় ব্যাপার, ওসব নিয়া আমার মাথা ঘামানোর দরকার নাই। ব্যাপার টা ওখানেই শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু না ! ঐ মেয়েটা পিছনে দেখলাম একটা বাচ্চা... বয়স হয়তো ৮ বছরের বেশি হবে না । সাথে আরও একটা মেয়ে। হয়তো ভাই-বোন হবে । দুজনার পায়ে কোন রকমের স্যান্ডেল বা জুতা নাই। মেয়েটা তাকিয়ে আছে সামনের সুন্দরি মেয়েটির স্যান্ডেলের দিকে আর একজন আরেক জনের হাত ধরে হাঁটছে... । (হাইরে কপাল, কারও অনেক থাকার পরও খালি পায়ে হাটে শখ পূরণের জন্য আবার কেও খালি পায়ে হাটে কিছুই না থাকার কারনে... আচ্ছা ঐ বড়লোক সুন্দরি মেয়েটি যদি তার স্যান্ডেলটি যদি পিছনের ঐ মেয়েটি কে দিয়ে দিত তাহলে কি খারাপ হতো ? তার তো কোন ক্ষতি হতো না। বরং ঐ গরিব মেয়েটির উপকার হয়তো। না... তা হবার না । কখন হবেও না। যদি মেয়েটি তার স্যান্ডেল জোড়া দিয়ে দিত তাহল হয়তো কোন একজন মহান মনিষীর উক্তি ভুল প্রমান হতো। ‘দুনিয়াতে কোন কিছুই পরিপূর্ণ না’ সবকিছু ত্রুটি পূর্ণ। ) (যায়হোক কিছুক্ষন পরেই সুন্দরি গাড়িতে উঠে... চলে গেল। ) আমিও ঘুরে তাকাতেই............রনি বলল......।। 

: ভাইয়া কাপ দেন। আপনারে আর এক কাপ চা দিতেসি । 
:কাপ নাও।চায়ে ডাবল হিট দিও তো এবার। 
:ঠিকাছে ভাইয়া । (রনি সব সময় আমাকে ভাইয়া বলেই ডাকে। যদিও আমার চেয়ে বড়।তারপরও ঐ ভাইয়া বলেই খুশি। কিন্তু আমি রনিকে তুমি করেও ডাকি।এতে তার কোন আপত্তি নায়। ) (একটু পরে দেখি ঐ দুই ভাই বোন রাস্তা পার হয়ে দোকানের একটু সামনে দাঁড়ালো । ছোট ছেলেটা বোনের হাত ছেরে দিয়ে যখন রনির দিকে হাটতে থাকল... আমি তখন বুজতে পেরেছি যে ছেলেটা রনির কাছে নিশ্চয় খাওয়ার চাইবে। আর সাথে সাথে তায় ই ঘটলো) 

:ঐ ভাইয়া একটা কিছু দিবেন। খুব খুধা লাগছে। (ছেলে তার চেহেরার মধ্যে একটা মায়া আছে। কেও একবার তাকালে মায়া পরে যাবে। আমি আগ্রহ নিয়া অকে ডাকলাম) 
: ঐ পিচ্ছি... (একটু সামনে এগিয়ে আসল) নাম কি তোর ? 
:রাশেদ। :কি করিস তুই ? 
:আমি কিছুই করি না। 
:কি চাস ? :খুধা লাগছে... একটা বাটার বন দেন না। (পাশ থিকে রনি বলল তোর বাপ মা নাইঁ? ) 
: বাপ নাই, মায়ে আছে। 
: তাইলে তোর মারে বল খাওয়ার দিবে... দোকানে এসে ভিক্ষা চাস কেন ? 
: মায়ের অসুক। কামে যাইতে পারে না। (আমি বললাম রনি একটা বাটার বন দিয়ে দাও।আমি বিল দিচ্ছি । রনি দিয়ে দিল। রনি সাথে একটা লাড্ডুও দিল। মালিক কে বলল লাড্ডুর বিল তার বেতন থিকে কেটে নিতে। আমি আবার প্রশ্ন করতে লাগলাম) 
: তুই পড়াশুনা করিস না ? 
: না । 
: কেন? তোর কি পড়াশুনা করতে ইচ্ছা করে না ? 
: করে। কিন্তু বই, আর ইস্কুলের ড্রেস কিনার টাকা কই পামু ? একবার স্কুলে ভর্তি হইছিলাম ড্রেস কিনিনায় তায় বের করে দিছে। মায়ে আমারে কইছে কাম করতে। 

: ঐ মেয়েটা কে ? 
: ঐ আমার বোন লাগে আমার, তামান্না নাম । 
:আচ্ছা তোর খুধা লাগছে... আর তোর বোনের খুধা লাগেনি? । 
: হুম, লাগছে। এই একটা বাটার বন দুই জন ভাগ করে খাবো। 
: থাম, আরেকটা দিতেসি, রনি আর একটা বাটার বন দাও। (রনি বুজতে পেরে আরও একটা বাটার বন আর একটা লাড্ডু নিয়া আসল) 
:রনি লাড্ডু দিও না, অত টাকা আমার কাছে নাই। ২৫ টাকা আছে, আমার দুই কাপ চা আর ২ টা বাটার বন এর দাম দিতে পারব। 

: ভাইয়া বাকি টাকা আমার উপর ছেরে দেন, আমি দিব । (রনির কথা সুনে আমি অবাক।খুশি হলাম। আসলেই বিপদেই গরিব কেবল গরিব এর সাহায্য করে।আমি পিচ্ছিকে বাটার বন আর লাড্ডু হাটে ধরাইয়া দিয়া কইলাম যা। পিচ্ছি টা খুশি হইয়া আবেগে কেদেই দিল আর দোর দিয়া চলে গেল। কিছু দূরে যাওয়ার পর পিছনে ঘুরে তাকাল... একটা অম্লান হাসি, কাওকে লাখ টাকা দিলেও সে এত সুন্দর হাঁসি দিতে পারবে না। ) 

:রনি টাকা নাও, তারাতারি বাসায় যাইতে হবে, আবার মনে হয় বৃষ্টি নামবে ।

Comments

Popular Posts