Featured
- Get link
- X
- Other Apps
ডিপফেক টেকনোলজি ( সংক্ষিপ্ত আলোচনা )
ডিপফেক টেকনোলজি (Deepfake Technology) সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমে বিনোদনের জন্য বেশ কিছু ভাইরাল ভিডিও এর কথা বলতে হয়, যেখানে আপনি দেখেছেন টম ক্রুশ হাঁটতে হাঁটতে দৌড় দেওয়া শুরু করে, মনে হবে নতুন কোন সিনেমার ভিডিও বা বারাক ওবামার যুদ্ধের ঘোষণার কথা মনে পরবে। এছারাও আরও অনেক উদাহরণ আছে ইউটিউব পাবেন। একটা ভিডিও মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে দেওয়া এক অভিশপ্ত প্রযুক্তি হল ডিপফেক টেকনোলজি । এই প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এর মাধ্যমে ছবি থেকে চেহারা হুবুহু নকল করতে সক্ষম, এটির সাহায্যে চেহারার বিশেষ কিছু অংশ পরিবর্তন করে যেকারো চেহেরা লাগানো যাবে। বিশ্বের অনেক বড় বড় সেলিব্রিটি রা এই প্রযুক্তির অপব্যাবহারের স্বীকার হয়েছে। Deep Fake technology দিয়ে এখনো পর্যন্ত যতগুলো কাজ হয়েছে তার ৯৬% ই পর্ণোগ্রাফি। হাজার হাজার মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছে এই প্রযুক্তি।
এই প্রযুক্তি হচ্ছে মেশিন লার্নিং এলগোরিদম ব্যবহার করে কোন ছবি, অডিও বা ভিডিও বা যেকোনো ডিজিটাল ফাইল এমনভাবে এডিট করা যা দেখে বোঝা দুঃসাধ্য হবে যে এটি নকল বা এডিট করা হয়েছে। সাধারণত ছবি হলে বলা যায় যে এডিট করা, কিন্তু ভিডিও এডিট করা এটা প্রমান করা খুব কঠিন। তাই এই প্রযুক্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। আর এর জন্য বেশি কিছু লাগবে না, আপনার কিছু ছবি হলেই হবে। ফেসবুকে বা ইন্সট্রাগ্রামে হাজার হাজার ছবি পাওয়া যাবে, একজন মানুষের যত ছবি থাকবে ভিডিও তত নিখুত হবে। মেশিন লার্নিং এমন ই, একে যত ডাটা দিবেন এটি আপনাকে তত নিখুত ফলাফল দিবে। আর পূর্বে থেকেই আমরা জানি অডিও বা শব্দ এডিট করা যায় অত্যন্ত নিখুদ ভাবে, আর এসব এর ভুল আপনি ধরতে পারবেন না এর কারণ হল, আমাদের দৃষ্টিসীমার পর্যায়কাল ০.১ সেকেন্ড। অর্থাৎ ১০০ মিলি সেকেন্ডের কম সময়ে ঘটে যাওয়া কোনো দৃশ্য আমাদের চোখে বাঁধবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা ভিডিওগুলোতে নানা ধরনের রূপান্তর ঘটে এর থেকেও কম সময়ে। তাই খালি চোখের পক্ষে আসল-নকলের যাচাই করা সম্ভব হয় না।
আর এই প্রযুক্তির খারাপ প্রভাব সমাজে পরতে শুরু করেছে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এটি অস্ত্রের মতো ব্যাবহার হচ্ছে যেমনঃ নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষের আপত্তিকর ভিডিও বা রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার গালয় বিশেষ কোন নির্দেশনা যা মুহূর্তেরে মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছরিয়ে দিবে। এছারা আরও অনেক অনেক ভাবে এর অপব্যাবহার করা যায়।
আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে ছবি আপলোড করার ক্ষেত্রে, আপনার বন্ধু তালিকায় কে আছে অবিশ্বস্ত, তাকে তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলুন, আপনি জানবেনও না যে কে আপনার ছবি ব্যাবহার করে এমন ভিডিও ছড়িয়ে দিবে। যদিও এই প্রযুক্তি সাধারণ জনগনের হাতে যায়নি এখন। তবে কিছু অ্যাপ আছে, এসব ছরিয়ে ফেলা অত্যন্ত দরকার, আর ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরমগুলো যদি আগে থেকে এসব ফেক ভিডিও শনাক্ত করার জন্য এডভান্স কোন প্রযুক্তি তৈরি করতে পারে তাহলেই এর খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরও বিস্তারিত ধারণার জন্য
Website Link: https://www.popularmechanics.com/technology/security/a28691128/deepfake-technology/
YouTube Demo video: https://www.youtube.com/watch?v=QY0UpiEyNVw
Popular Posts
What's your imagination, has become your limitation.
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment